Ad Code

Responsive Advertisement

ব্রাইয়োনিয়ার পরিচায়ক লক্ষণ


ব্রাইয়োনিয়ার পরিচায়ক লক্ষণসমূহ-

১) ব্রাইয়োনিয়ার রোগ লক্ষন মৃদু ও স্বল্পভাবে আরাম্ভ হয়ে খুব ধীর ও ক্রমগতির সাথে পরিণতি প্রাপ্ত হয়।
২) ব্রাইয়োনিয়া শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির উপর কাজ করে ঝিল্লির রস নিঃসরণ বন্ধ করে,ফলে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির শুষ্কতার সৃষ্টি করে, উহাতে প্রদাহ হয়  এবং অতন্ত যন্ত্রনাদায়ক সুচ ফোটানোবৎ ব্যথা। নড়াচড়ায় রোগ লক্ষনের বৃদ্ধি। চুপ করে ব্যথার পার্শ্ব বা স্থান চেপে শয়নে উপশম , এমনকি ব্যাথার স্থানে চেপে ধরলে বা টিপলেও ব্যথা উপশম। পেটের ব্যথা চাপলে উপশম হয় না।
৩) নাক, ঠোট , মুখগহব্বর , জিব্বা, গলা, শ্বাসনালী, পাকস্থলী, অন্ত্র ও মলদ্বার প্রভৃতি শুষ্ক হয়ে অতন্ত পিপাসা। মুখের স্বাদ তিতে , মল শুষ্ক -কঠিন ,যেন মোটা ঝামার মত। জিব্বা সাদা ময়লাযুক্ত।
৪) অতি পিপাসায় অনেক্ষন পর  গ্লাসে গ্লাসে প্রচুর ঠান্ডা পানি এক চুমুকে পান করে । ক্ষুদায় পেটুকের মত আহান করে।
৫)  আহারের পর  পানির মত বমি করে, বমির স্বাদ তিতা এবং পেটে ভারি বোধ হয়।
৬)মাথায় পিড়ায় রোগী সর্বদা মুখ নাড়ে য়েন কিছু চিবাইতাছে। বাত , শ্লেষ্মা-জ্বর , ঠোঁট শুষ্ক ও ফাটা।
৭) মাথা যেন চাকার মত গোলাকার ঘুরে,সকালে বিছানা বা গুম থেকে উঠলে মাথা ঘুরে  পরে যাওয়ার মত উপক্রম । গুম থেকে উঠে হাটতে পারে না। গা বমি বমি ও ঝিমঝিম করে।
৮) ডানদিকে রোগ লক্ষন অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে, ফলে ডান হাতে ও ডান পা অপেক্ষা বাম হাত ও বাম পা অনবরত নাড়ে,প্রাতঃ কালে বৃদ্ধি।
৯) গ্রীস্মের সকালে ‍উদারাময় বৃদ্ধি, ঘুম থেকে উঠলেই সাথে সাথে বাহ্যের বেগ।
১০) গলা বা উপর পেট থেকে কাশি শুরু হয়, রাত্রিতে  ও পানাহারে কাশির বৃদ্ধি।শুস্ক কাশিতে গয়ার উঠে না। বক্ষঃস্থলে সেটে ধরা ব্যথা করে, কাশির সময় বুক চেপে ধরে।
১১) রোগীর ঋতুস্রাব এর সময় ঋতুস্রাব বন্ধ হলে পরিবর্তে নাক দিয়ে রক্তস্রাব।
১২) স্তন স্ফীতি ও প্রদাহ, স্তনদ্বয় বিবর্ণ, উত্তপ, শক্ত, বেদনাযুক্ত ও ভারী, নড়াচড়ায় ব্যথা। রোগীনী সিঁড়ি দিয়ে নামতে, কাশি দিতে স্তনদ্বয় চেপে ধরে যাতে ঝাকি না লাগে।
১৩) পর্যায়ক্রমে সূতিকাস্রাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে শিরঃপীড়া। সূতিকাস্রাব ভালভাবে নিঃসৃত না হলে বা কোষ্ঠ পরিষ্কার না হলে শিরঃপীড়া, সূতিকাজ্বর।
১৪) চোখে ব্যথা, ব্যথা চোখের ভিতর দিয়ে মাথার পিছন পর্যন্ত যায়। মাথা এবং চোখ িএকটু নড়লে ব্যথা বাড়ে। মনে হয় যেন চোখের তারা দুটি রাশি দিয়ে টেনে ধরছে। দেহের গাঁট বা গ্রন্থিগুলি ফুলে যায়।
১৫) রোগীর মেজাজ অত্যন্ত খিটখিটে, কোন কথা জিজ্ঞেস করলে বা সামান্য কিছুতেেই বিরক্ত হয়।
১৬)রোগীর লোক সমাগম অপছন্দ, কারো সাথে কথা বলে না, একা থাকতে চায়। রোগীর ভয় কেহ তাহাকে বিরক্ত করে। সকল রোগে চুপচাপ পড়ে থাকে।
১৭) ত্রুুদ্বভাব ও অসন্তুষ থেকে পীড়া, বিশেষতঃ শীতবোধ ও শিরঃপীড়া। তর্ক, ঝগড়া,মত বিরোধের পর দেহের অসুস্থতা ও শিরঃপীড়া।
১৮) শিশুরা কি যে চায় বুঝা যায় না, বিভিন্ন জিনিসের বায়না ধরে, কিন্তু যা চায় তা পেলেও তৎক্ষনাৎ ছুড়ে ফেলে। তবে কোলে উঠতে চায় না।]
১৯) রোগী অন্ধারে থাকতে চায়, অপরিচিত বা নবাগত মানুষ দেখতে পারে না এবং খারাপবোধ করে।
২০) জ্বর বা যেকোনো পীড়া বেশি হলে প্রলাপকালে দৈনিক কাজের কথা বলে।
২১) বিছানায় বসেই রোগী মনে করে সে কোথায় যাচ্ছে।
২২) হঠাৎ বাতি জ্বালালে, জোরে কথা বললে রোগী রেগে যায়।
প্রশ্নঃ ১৪.২৮। ব্রাইয়োনিয়া অ্যালবের নির্দেশক লক্ষণাবলী লিখ।
উত্তরঃ ব্রাইয়োনিয়া অ্যালবের নির্দেশক লক্ষণাবলীঃ-  এই প্রশ্নের নম্বর বন্টনে যদি ৫- মার্কস থাকে, তাহলে প্রশ্নোত্তর া১৪.২৭ থেকে ৫-৬ টি পয়েন্ট লিখলে চলবে। কিন্তু প্রশ্নের নম্বর বন্টন ২- থেকে ৪- মার্কস হয়, তবে সংক্ষেপে ৩- থেকে  ৫-টি পয়েন্ট লিখতে হবে।

কাশিতে ব্রাইয়োনিয়ার লক্ষণাবলী 

গলা বা উপর পেট থেকে কাশি শুরু হয়।রাত্রিতে, পানাহারের পর এবং গরম করে কাশির বৃদ্ধি। কাশি শুষ্ক, গয়ার উঠে না, গয়ার উঠলেও লোহার মরিচার মত, হলদে বর্ণের মত, রক্তের ছিট মিশ্রিত ও দড়ির মতো শক্ত। বক্ষঃস্থলে সেঁটে ধরা, যন্ত্রনাদায়ক ব্যথা। নিঃশ্বাস নিতে পারে না। কাশতে কাশতে যেন বুক ফেটে ‍যাবে, বমি হয়, গলার স্বর কর্কশ। কাশির দমকে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে থাকে, যেন দম বন্ধ হবে। কাশিলে গলায় কুট কুট করে, গলায়, বুকে ও মাথায়  এবং মহিলার স্তনে প্রচন্ড ব্যথা। তাই রোগী কাশির সময় বুক চেপে ধরে; কিন্তু রোগীনী স্তনদ্বয় ও গলা দুই হাতে চেপে ধরে, যাতে স্তনদ্বয়ে ঝাঁকি না লাগে।

Post a Comment

0 Comments