Ad Code

Responsive Advertisement

ব্রাইয়োনিয়া অ্যালবাম

 “ব্রাইয়োনিয়া অ্যালবাম” এটি একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন




ব্রায়োনিয়া অ্যালবাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাঃ

ব্রায়োনিয়া গাছের বর্ণনাঃ-

বিটিস অ্যালবা বা ওয়াইল্ড হপস নামক এক প্রকার গাছড়া বা উদ্ভিদের মূল থেকে এই ঔষধটি প্রস্তুত করা হয়। ইহা একটি বর্ষজীবী বা বহু বর্ষজীবী লাতানো দ্রাক্ষা জাতীয় গাছ বা গাছড়া বা উদ্ভিদ যা উঁচু ঝোপে বা বেড়ায় বেড়ে উঠে। গাছ গুলির মূল সরু দুইটি শাখাযুক্ত মূল, মূল দুইটি থেকে তিন টি থাকে। মূলের বাহিরের অংশে পীতাভ বা হলদে দূসর বর্ণের, ভিতরের অংশ সাদা। মূলের সাদ ও গন্ধ বিরক্তিকর, এবং গন্ধে বমি আসে। কিন্তু সোকাইলে এগুলো কিছুই থাকে না। 

গাছটি ফাঁপা শাকের মতো পেচানো, উজ্জ্বল সবুজ বর্ণের গাছটি পাঁচ ভাগে বিভক্ত। গাছের পাতা গুলো খসখসে ও ঘন সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। গাছ গুলির পাতা পরিবর্তন শীল। পাতাগুলির ব্যাস প্রায় অর্ধ ইন্চি পরিমাণ হয়। 

জুন ও জুলাই মাসে এ গাছে ফুল হয়। ফুল গুলো আকারে ছোট হয়, সবুজ ও হলদে বর্ণের। ফুল গুলো দুই প্রকারের হয় ।যথা পুরুষ ফুল ও স্ত্রী ফুল। পুরুষ ফুল গুলো আকারে স্ত্রী ফুলের চাইতে ছোট। অতএব স্ত্রী ফুল গুলো পুরুষ ফুলের তুলনায় একটু বেশি বড়।

গাছে ফল হয়, ফলগুলো গোলাকার ও কালো। গাছে ফুল ফোটার মুহূর্তে বা ফুল ফোটলে এই গাছের টাটকা মূল সংগ্রহ করে এর রস নিংরিয়ে মূল আরক বা অরিষ্ট মাদার টিংচার প্রস্তুত করা হয়। 

ব্রাইয়োনিয়া অ্যালবাম এর প্রস্তুত প্রণালী-

বিটিস অ্যলবা বা ওয়াইল্ড হপস বা শ্বেত ব্রাইয়োনিয়া গাছটিতে বা উদ্ভিদটিতে ফুল ফুটিবার পূর্বে বা আগেই টাটকা বা তাজা মূল ও শিকর সংগ্রহ করে ঐ মূল ও শিখর নিংড়িয়ে রস সংগ্রহ করার পর ঐ রসের সমপরিমাণ বিশুদ্ধ সুরাসার সহযোগে মূল আরক বা অরিষ্ট মাদার টিংচার প্রস্তুত করা হয়। 

এক ভাগ অরিষ্ট চার ভাগ পরিস্রুত পানি এবং পাঁচ ভাগ পরিস্রুত সোরাসারের সাথে মিশ্রিত করে ব্রাইয়োনিয়া ঔষধের শক্তি প্রস্তুত করা হয়। ঠিক তদ্রূপ নিয়ম অনুসারে নিম্ন শক্তি থেকে উচ্চ শক্তি প্রস্তুত করা হয়। 

ব্রাইয়োনিয়া অ্যালবাম এর ধাতুগত লক্ষণ-

যাহারা কালো বর্ণের মানুষ এবং বলিষ্ঠ, শক্ত ও দৃঢ় মাংশপেশী, দেখতে নির্বোধের মতো, কিন্তু সহজেই রেগে উঠে বা উত্তেজিত হয়। এছাড়া যাহারা প্রায়ই গেটে বাতে ভোগে, পিত্তের ধাতু বিশিষ্ট মানুষেরাই ব্রাইয়োনিয়ার ধাতু বিশিষ্ট রোগী। যাহারা গরম কাতর, সোরিক ধাতুর রোগ গ্রস্থ, বাত প্রবণ এবং পেটুক হয়ে থাকে তাহারাও ব্রাইয়োনিয়ার ধাতুর রোগী।

ব্রাইয়োনিয়ার প্রয়োগ ক্ষেত্র-


উদরাময়, যকৃতের পীড়া, কোষ্ঠ কাঠিন্য, কাশি, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, প্লুরিসি, শুষ্ক কাশি, সর্দি স্রাব, সবিরাম জ্বর, স্বল্প সবিরাম জ্বর, টাইফয়েড জ্বর, মাথা ব্যথা, শিরঘূর্ণয়ন, চোখের বেদনা, নাক থেকে রক্ত স্রাব, ঋতু স্রাব, স্তন প্রদাহ, ন্যাবা, কানে শব্দ হওয়া, বাত জানু প্রদাহ, সন্ধিবাত, হাম, পাকস্থলীর ফোঁড়া, রক্ত কাশ, মুখমণ্ডলের স্নায়ুশূল এবং শিশুদের মুখের ক্ষত ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্রাইয়োনিয়া অ্যালবাম প্রয়োগ করা হয়। 


ব্রাইয়োনিয়ার বৃদ্ধি বা উপচয়-

নড়াচড়ায় বৃদ্ধি, উঠে বসলে,উত্তাপে, গরম পানাহারে, গরম ঘরে থাকলে,  প্রাতকালে, গ্রীষ্মকালে, রাত্রী নয়টা, নিদ্রার সময় , পরিশ্রমে , মাথা বা দেহ ঝাঁকুনি দিলে, অনাহারে থাকলে, ব্যাথাহীন পার্শে শয়নে, উপরে হেঁটে উঠলে, চোখ বন্ধ করলে, কাচাঁ ফল খেয়ে উদরাময়ের বৃদ্ধি এবং আহারের পর কাশির বৃদ্ধি।

ব্রাইয়োনিয়ার হ্রাস বা উপসম-


ব্যাথার দিকে চেপে শয়নে , ব্যাথাস্থলে জোরে চেপে ধরলে বা টিপলে, চুপচাপ বিশ্রাম নিলে , ঠান্ডা পানি প্রয়োগে, খাদ্য দ্রব্য এবং পানীয় পানাহারে , ঢেকুর উঠলে , গরম বিছানায় শয়নে, ঘাম জরলে , স্থীর হয়ে থাকলে , ঠান্ডা খোলা মৃদু মন্দ বাতাসে অন্ধকারে । 

বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ-





Post a Comment

0 Comments