Ad Code

Responsive Advertisement

ক্যামোমিলা ম্যাট্রিকেরিয়া

 ক্যামোমিলার সারাংশ বা সারমর্ম বা মর্মবাণীঃ

ক্যামোমিল্যার ত্রুুদ্ধ স্বভাব, গালাগাল ও মন্দ আচরণ।

কলহয়প্রিয়, স্পর্শকাতর, শিশু ক্রন্দনশীল ও সহ্যশক্তিতীন।

ত্রুুদ্ধ শিশু বিরক্ত করে, ঘ্যান ঘ্যান করে।

এটা -ওটা বায়না ধরে। শিশুকে কোলে বেড়ায়ে শান্ত করে।

শিশুর দাঁত উঠার সময় উদারাময় । তাতে ডিম পচা গন্ধ রয়।

তরল মল গরম, মলদ্বার হেজে যায়।

বাহ্যের রং সবুজ, রোগী শীতকাতর হয়।

একটি গাল গরমে লাল, অপরটি শীতল ফ্যাকাশে।

প্রসব ব্যাথ্যা অসহ্য লাগে উত্তেজনা শেষে।

ব্যাথা কোমর থেকে পাছা হয়ে উরুতে আসে।

উপশম পায় উপবাসে গরম আর্দ্র বাতাসে।

ক্রোধে, গরমে, সন্দ্যাকালে, রোগ বাড়ে খোলা বাতাসে।


ক্যামোমিলার প্রাকৃতিক অবস্থান কম্পোজিটাই।


ক্যামোমিলার প্রতিনাম বা প্রতিশব্দঃ

ক্যামোমাইল, ক্যামোমিলা নষ্ট্রাস, ক্যামোমিলা ভালগ্যারিস, বনজ ক্যামোমাইল, মেট্রিকেরিয়া ক্যামোমিলা, ক্যামোমিলা অফিসিন্যালিম,ক্রোথেমিস ভালগ্যারিস, কর্ণ ফিভার ফিউ, লিউকেন থেমাম ইত্যাদি।


ক্যামোমিলার গাছের বর্ণনাঃ

মেট্রিকেরিয়া ক্যামোমিলা বা ক্যামোমাইল নামক এক ধরনের বর্ষজীবী  ঔষধি বৃক্ষটি বা গাছটি বা উদ্ভিদ বা গাছড়াটি বালুকাময় আবাদি বা অনাবাদি অঞ্চলে জন্মে থাকে। ইহার কাষ্টময় আঁশ বিশিষ্ট বড় আকারের মূল থাকে। মূল থেকে সোজা, শক্ত ও মসৃণ ডাঁটা ও গুচ্ছময় শাখা এক থেকে দুই ফুট পর্যন্ত উপরে উঠে  অর্থাৎ লম্বা হয়। পাতাগুলি পর্যায়ক্রমিক অসংখ্য  এবং অবৃন্তক। উপরের পাতাগুলি সরল কিন্তু অন্যাগুলি দ্বিগুণবাচক অথবা ফাটা পালকের মতো।মে থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত এই গাছে অসংখ্য সাদা বর্ণের ফুল ফোটে। এই ফুলগুলি অর্ধ ইঞ্চি পরিমাণ বিসৃ্ত থাকে। উদ্ভিদে ফোল ফোটার সময় অর্থাৎ টাটকা পুস্পিত হওয়ার সময় মূল, শিকর, কান্ড, পাতা ও ফোলের মুকুল সমেত সমুদয় গাছড়াটি বা উদ্ভিদটি ঔষধে ব্যবহার করা হয়।


ক্যামোমিলা ঔষধের উৎস উদ্ভিজ।

ক্যামোমিলার প্রাপ্তিস্থান বা জন্মস্থানঃ

ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের সর্বত্র এবং উত্তর এশিয়া ও ভারতে।

বিশেষতঃ পাঞ্জাবের আর্দ্র, আবাদি ও অনাবাদী মাঠে এই উদ্ভিদ বেশি জন্মে ও পাওয়া যায়।

মহাত্মা ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিমেন ক্যামোমিলা ঔষধটি প্রুভ করেন।

ক্যামোমিলা ঔষধটির প্রস্তুত প্রণালীঃ

মেট্রিকেরিয়া ক্যামোমিলা বা ক্যামোমাইল নামক গাছড়া বা উদ্ভিদটিতে ফুল ফোটার সময় অর্থাৎ ফুলের মুকুল আসার সময় টাটকা/ তাজা মূল, শিকড়, কান্ড, পাতা ও ফুলের মুকুল সমেত সমুদয় গাছড়া বা উদ্ভিদটি সংগ্রহ করে রস নিংড়িয়ে রসের সমপরিমাণ পরিস্রুত সুরাসুর সহযোগে ক্যামোমিলার মূল আরক/অরিষ্ট প্রস্তুত করা হয়। ১-ভাগ মূল আরক/অরিষ্ট ৪-ভাগ পরিস্রুত পানি এবং ৫- ভাগ পরিস্রুত সুরাসুরা সহযোগে ক্যামোমিলার ২x- শক্তি প্রস্তুত করা হয়। ৩x শক্তি এবং উচ্চ শক্তির ক্যামোমিলা প্রস্তুত করতে হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ার নিয়ম অনুসারে শুধু পরিস্রুত সুরাসুর সহযোগে তৈরি করা হয়। ক্যামোমিলার ঔষধ প্রস্তুুতের ফর্মুলা এফ-৭(F-7)। 


ক্যামোমিলা কোথায় এবং কোন অঙ্গে কাজ করেঃ

স্নায়ুতন্ত্রে ক্যামোমিলার প্রধান ক্রিয়াস্থান। ইহা স্নায়ুতন্ত্রে ভিতর দিয়ে মস্তিষ্কে,  পরিপাকতন্ত্র, কিডণী, মূত্রথলী, রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়া, ফুসফুস ‍ু শ্বাসযস্ত্রের  শ্লৈষ্মিক ঝিলি  এবং দেহের বামদিকে ক্রিয়া করে। এছাড়াও ক্যামোমিলা মন এবং শিশু, গর্ভবতী মহিলা ও স্তনদানকারী মায়েদের জন্য উপযোগী।


আমি তোমায় ভালোবাসি 

Post a Comment

0 Comments