Ad Code

Responsive Advertisement

ডাক্তার হ্যানিম্যানের প্রধান কয়েকটি গ্রন্থ Name of book written by Dr. Hahnemann

 ডাক্তার হ্যানিম্যান রচিত গ্রন্থাবলি নাম।


 ডাক্তার হ্যানিম্যানের প্রধান কয়েকটি গ্রন্থ-

  1. ফ্রাগম্যান্টস দ্য/ডি ভিরিবাস।
  2. অর্গ্যানন অব মেডিসিন এবং পরবর্তী ছয়টি সংস্করন। 
  3. মেটেরিয়া মেডিকা পিউরা।
  4. রেপার্টরিয়াম বা রেপার্টরিয়া। 
  5. দ্যা ক্রনিক ডিজিজেস।
  6. কলেরা রোগের চিকিৎসা 

ডাক্তার হ্যানিম্যান রচিত গ্রন্থাবলির বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল 


ফ্রাগম্যান্টস দ্য/ডি ভিরিবাস

ফ্রাগম্যান্টস দ্য/ডি ভিরিবাস:- সুস্থ মানবদেহের উপর 27 টি ঔষধের পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত লক্ষণের উপর ইহাই হ্যানিম্যানের প্রথম গ্রন্থ। 1805 সালে মি: জে, এ, বার্থ লিপগিজ থেকে গ্রন্থটিপ্রকাশ করেন।গ্রন্থটি দুই খন্ডে সমাপ্ত।  প্রথম খন্ড বিশুদ্ধ মেটিরিয়া মেডিকা ও পৃষ্ঠা সংখ্যা 269 এবং দ্বিতীয় খন্ড রেপাটরীর অংশ ও হ্যানিম্যান রচিত সর্ব প্রথম রেপাটরী ও পৃষ্ঠা সংখ্যা 470।(Fragments the/de viribus.)

অর্গ্যানন অব মেডিসিন

অর্গ্যানন অব মেডিসিন:- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা,  নিয়মনীতি সম্মত ও বিধি-বিধান সম্পর্কিত জ্ঞানের জন্য ডাক্তার হ্যানিম্যান অর্গানন অব মেডিসিন বইটি লিখেন। ইহার মোট ছয়টি সংস্করণ প্রকাশিত হয় 1921 সালে এবং ইহাতে মোট 291 টি সূত্র বা অনুচ্ছেদ আছে।  ইহার দুইটি অংশ। যথা- ক) তত্ত্বগত অংশ ( সূত্র ১ থেকে ৭০ পর্যন্ত); এবং খ) ব্যবহারিক অংশ ( সূত্র ৭১ থেকে ২৯১ পর্যন্ত)।(Organon of Medicine)

মেটিরিয়া মেডিকা পিউরা

মেটিরিয়া মেডিকা পিউরা:- 1811 খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত,  ডাক্তার হ্যানিম্যান রচিত মেটিরিয়া মেডিকা পিউরা,  হলো হোমিওপ্যাথির মেটিরিয়া মেডিকার সর্বপ্রথম বই।  নিজের দেহে ও তার প্রায় 50 জন পরীক্ষক দল প্রায় 100 টি ঔষধের প্রুভিং করে তার ফলাফল এবং বিভিন্ন ঔষধের লক্ষণসমষ্টি সুপরিকল্পিতভাবে এই বইতে লিপিবদ্ধ করেছেন। ইহা ছয় খন্ডে সমাপ্ত ও জার্মন ভাষায় লিখিত। (Materia Medica Pura)


রেপার্টরিয়াম বা রেপার্টিয়াম

রেপার্টরিয়াম বা রেপার্টিয়াম:- তৎকালীন সময়ে হোমিওপ্যাথিক আবিস্কৃত  ঔষধের সংখ্য বেড়ে যাচ্ছিল, তখন ঔষধের অসংখ্য লক্ষণ সমষ্টি স্বয়ং হ্যানিম্যানের পক্ষেও মনে রাখা বা , মুখস্ত রাখা সম্ভব হচ্ছিল না । তখন ১৮১৭ সালে তিনি “রেপার্টরিয়াম” বইটি ল্যাটিন ভাষায় লিখেন। ইহার পৃষ্টা সংখ্যা ছিল-৪২৩৯ । হ্যানিম্যানের সময়ে আবিস্কৃত  ঔষধগুলির লক্ষণগুলিকে মন ও মাথা থেকে শুরু করে হাত-পা পর্যন্ত ক্রমিক গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন অংশে বর্ণক্রমিকভাবে সাজিয়ে তার পাশে এইগুলির সংশ্লিষ্ট ঔষধের নাম ও বর্ণক্রমিক অনুসারে ও বিভিন্ন মূল্যমানের হরফে উল্লেখ করেন। ফলে ঔষধের প্রয়োজনিয় লক্ষণগুলির ও সংশ্লিষ্ট ঔষধটি বা , ঔষধগুলি এবং সংশ্লিষ্ট রোগীর জন্য সুনির্দিষ্ট ঔষধটি খুজে বের করা অতি সহজ।(Repertory or repertory)




দ্যা ক্রনিক ডিজিজেস


দ্যা ক্রনিক ডিজিজেস :- ডাক্তার হ্যানিম্যান রচিত ৫ খন্ডে বিভক্ত “ক্রনিক ডিজিজেস” বইটির গুরুত্ব অপরিসীম । ইহার প্রথম খন্ড 1828 সালে এবং পঞ্চম খন্ড 1839 সালে প্রকাশিত হয়।  বইটি দুই ভাবে বিভক্ত। বইটির প্রথম ভাগে চিররোগের প্রকৃতি,  চিকিৎসা,  ঔষধ ও ঔষধ প্রস্তুতের আলোচনা করা হয়েছে। এই ভাগের শেষে ব্যবহারিক অংশে মায়াজম নাশক 48-টি ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটির দ্বিতীয় ভাগে ঐ ঔষধগুলো সুস্থ মানবদেহে পরীক্ষাকালে যে সব লক্ষণ পাওয়া গেছে ঐ লক্ষণগুলোর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। (The Chronic Diseases)


কলেরা রোগের চিকিৎসা

কলেরা রোগের চিকিৎসা:- কলেরা রোগের চিকিৎসা বইটি ডাক্তার হ্যানিম্যান 1831 খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেন জার্মন ভাষায়। তখন কলেরায় অনেক লোক মারা যেতো। কলেরার চিকিৎসা ডাক্তার হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে করেছিলেন। (Treatment of cholera)

Post a Comment

0 Comments