Ad Code

Responsive Advertisement

ইপিস মেলিফিকা Apis mellifica

হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন “এপিস মেলিফিকা” 


ইপিস মেলিফিকা


নিচে এপিস মেলিফিকাহোমিওপ্যাথিক মেডিসিন সর্ম্পকে বিস্তারিত  আলোচনা করা হলোঃ-

এপিস মেলের প্রাকৃতিক অবস্থানঃ-
এপিস মেলের প্রাকৃতিক অবস্থান হলো-হাইমেনপটেরা।

এপিস মেল যে পরিবারভূক্তঃ-
এপিস মেল হচ্ছে-এপিডাই পরিবারভূক্ত।

এপিস মেলের সমনাম বা প্রতিনামঃ-
মৌমাছির বিষ, মধুমক্ষী বা মধুমক্ষীকা, এপিয়াম ভিরস বা ভাইরাস, হানি-বি, হানি-বি পয়জন ।

এপিস মেলের উৎসঃ-
এপিস মেলের উৎস হলো-প্রাণিজ ।

এপিস মেলের প্রুভারঃ-
ডাক্তার ফ্রেডারিক হ্যাম্পফ্রাইজ এপিস মেল সর্ব প্রথম প্রুভ করেন ।

এপিস মেল যে সমস্ত জায়গায় পাওয়া যায়ঃ-
এপিস মেল অর্থাৎ মৌমাছি পৃথিবির সব জায়গায় পাওয়া যায় ।

এপিস মেলের প্রস্তুত প্রণালীঃ-
প্রয়োজনীয় পরিমান জীবন্ত মৌমাছি কাঁচের ছিপি বিশিষ্ট পরিষ্কার বোতলে আটকিয়ে রাখতে হয়।
বোতলে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রজঃ (Menstrua) ঢেলে দিতে হয় এবং ৮-১০ দিন পর্যন্ত মৌমাছি গুলোকে মেসিরেট করতে বা জল শিক্ত করতে হয় । এই অবস্থায় প্রতিদিন দুইবার কাচের বোতলটিকে ঝাঁকিয়ে দিতে হয় । দশদিন পর এই বোতলের লিকোইড গুলোকে ফিল্টার পেপারে ছাঁকিয়ে নিলেই এপিস মেলের মাদার টিংচার প্রস্তুত হয়। টিংচার ঢেলে লওয়ার পল অবশিষ্ট মৌমাছিগুলিকে কখনো চাপ দিতে নাই । ২x-শক্তির এপিস মেল তৈরী করতে , ১-ভাগ মাদার টিংচার ,৪-ভাগ পরিস্রুত পানি এবং ৫-ভাগ পরিস্রুত সুরুসার দরকার হয়। ৩x-এবং উচ্চ শক্তির ঔষধ তৈরী করতে হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ার নিয়ম অনুসারে পরিস্রুত সুরাসার ব্যবহার হয়।

এপিস মেলের প্রস্তুতের ফর্মূলাঃ-
এপিস মেলের প্রস্তুতের ফর্মূলা হলো-এফ-৪ (F-4) ।

এপিস মেলের প্রধান ক্রিয়াস্থল বা ক্রিয়াস্থানঃ-
জরায়ু বা ডিম্ভকোষ, কিডনি ও মূত্রাশয় সহ মূত্রযন্ত্র, মন, ডানদিক, হ্রদপিন্ড, রক্ত, চর্ম, শ্বাস যন্ত্র, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, জিহবা মুখ ও গলার মধ্যে এপিস মেলের প্রধান ক্রিয়া। এপিস মেলের ক্রিয়া মস্তিষ্কে, চোখে ও উদরে শোথের লক্ষণ উৎপন্ন করে । চর্মের উপর এপিস মেল আম বাতের মতো ফুলিয়া তুলে এবং বিসর্পের মত প্রদাহ উৎপন্ন করে ।

এপিস মেলের ধাতুগত লক্ষণঃ-
* এপিস মেলের রোগী গরম কাতর ।
* এপিস মেলের রোগী সোরা ও স্কুফুলাস ধাতুর ।
* এপিস মেল গন্ডমালা ধাতুগ্রস্ত ।
* পিত্ত প্রধান ও নার্ভাস ধাতুর লোক, সহজে উত্তেজিত ব্যক্তি।
* বিদুবা ও বয়ষ্ক কুমারীদের বিভিন্ন পীড়া ।

এপিস মেলের প্রয়োগক্ষেত্রঃ-
এপিস মেল প্রয়োগ করা হয় সাধারণত- জ্বর, বাত রোগ, বিসর্প, আম বাত, টাই ফয়েড, হাঁপানি ও কাঁশি, প্রদাহ, শোথ, ডিপ থিরিয়া, হিস্টি রিয়া, হাইড্রো কেফালাস, প্লূরিসি, বসন্ত ও হাম প্রভৃতি ক্ষেত্রে ।

এপিস মেলের রোগী যে কারণে প্রাকৃতিক ভাবে অসুস্থ হয়ঃ-
১) হিংসা , ঈর্ষাকাতরতা ইত্যাদি কারণে শারিরিক বা মানসিক পীড়া।
২) মানসিক ভাবে ভয় পেয়ে কোন রোগ ।
৩) কলহের কারণে কাহারো উপর রাগ করে কোন পীড়া।
৪) কোন আত্নীয় বা আপন জনের মৃত্যু বা আকষ্মিক কোন দূর্ঘ টনার কারণে।
৫) দুঃসংবাদ পেয়ে হার্ট  স্টোক বা ব্রেইন স্টোক করে পক্ষাঘাত হতে পারে বা অন্য কোন রোগ ।
৬) চর্মরোগ চাপা পরে হাঁপানি , শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি বা অন্য কোন রোগ হতে পারে ।

এপিস মেলের রোগ লক্ষণের বৃদ্ধি বা উপচয়ঃ-
১) গরমে।
২) বন্ধ গরম ঘরে ।
৩) নিদ্রার পর , স্পর্শে , জ্বর সহ সকল রোগ ।
৪) সকল রোগ লক্ষণের বৃদ্ধি বৈকাল ৩-টা থেকে ৫-টায় ।
৫) নড়াচড়ায়, দুপুরে , বিছানার গরমে।
৬) শয়নে গরম পানিতে গোছলে বৃদ্ধি ।
৭) উদরাময়, স্বরভঙ্গ, পেটের পীড়া বা দেহের ব্যথা বেদনা ।
৮) প্রাতঃকালে এবং শিরঃপীড়া, বেদনা।
৯) চোখের ও বক্ষঃস্থলের পীড়া রাত্রিতে বৃদ্ধি।

এপিস মেলের রোগ লক্ষণের হ্রাস বা উপসমঃ-
* ঠান্ডায় বা ঠান্ডা প্রয়োগে ।
* ঠান্ডা পানিতে গোছল করিলে হ্রাস হয়।
* মুক্ত খোলা বিশুদ্ধ বাতাসে।
* খালি গায়ে থাকলে ।
* মাথা পিছনে নোয়াইলেউপশম।

“এপিস মেল ঔষধটি ব্যবহার কালীন গরম পানিয় ব্যবহার করা নিষেধ, তবে ঠান্ডা পানিয় বা ঠান্ডা জাতীয় খাদ্য দেওয়া উচিৎ”

বিশেষ প্রয়োজনে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করুনঃ-



Post a Comment

0 Comments